উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে আবারও যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে জেলার কাজিপুর ও এনায়েতপুরের জালালপুর এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এখন বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৭ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৩.৩৫ মিটার)। একই সঙ্গে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৯৩ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৫.২৫ মিটার)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুনের শুরু থেকে প্রথম দফায় যমুনা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বেড়ে ১৮ জুন জেলার সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনার পানি। ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ২৯ জুন থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর ৩ জুলাই থেকে শুরু করে টানা সপ্তাহ যমুনার পানি কমতে থাকে। ২৩ জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় বাড়তে শুরু করে যমুনার পানি। ৩০ ও ৩১ জুলাই পানি কমার পর ৩১ জুলাই রবিবার বিকাল থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে থাকে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তরা। এ কারণে যমুনায় পানি বাড়ছে। তবে বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই। বৃষ্টি কমলেই পানি কমতে শুরু করবে।