চট্টগ্রাম বন্দরে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে আমদানি। তবে কমেছে রপ্তানি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাকালীন সময়ে বন্দরের কার্যক্রম সচল থাকায় আমদানি করা পণ্যের হ্যান্ডেলিংয়ে কোন প্রভাব পড়েনি। অন্যদিকে দফায় দফায় বিদেশি বায়ারদের পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে সার্বিক উৎপাদনে ভাটা পড়ে। ফলে রপ্তানির গতিও কমে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ২৫৮ টন আমদানি পণ্য কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসেই (জুলাই-এপ্রিল) ৯ কোটি ৬৭ লাখ টন পণ্য হ্যান্ডলিং করা হয়েছে বন্দরে। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩১ টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৭ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৫ টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৬ টন ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ টন আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে।
আমদানির সার্বিক চিত্র পর্যালোচনা করে দেখে গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিগত ৬ বছরের তুলনায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমদানির গতি ঊর্ধ্বমুখী। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে আমদানিকৃত কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিধি বিগত অর্থবছরকেও ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে সার্বিকভাবে রপ্তানির গতিতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই রপ্তানি করা হয়েছিল ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৬ হাজার ৪০৬ টন পণ্য।
এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমে গেছে ২ লাখ ১ হাজার ২৬১ টন। তাছাড়া, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭ হাজার ৪৬৫ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫৯ টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫ কোটি ৯ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৪ টন ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার ৯৮৬ টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে ৬০ হাজার ৮৫২ টিইইউএস কনটেইনার ও এপ্রিল মাসে ৫৫ হাজার ৮৮৩ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।