Image default
বাংলাদেশ

আড়াই কোটি টাকা ভ্যাট দিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট জমা দিয়েছে। দেশে ব্যবসা করে এমন নিবন্ধিত অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফেসবুকই প্রথম চলতি মাসে ভ্যাটের রিটার্ন জমা দিল।

ফেসবুকের নিবন্ধিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয় প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস বাংলাদেশ। সিটিব্যাংক এন-এর মাধ্যমে দুই কোটি ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার প্রমিলা সরকার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেসবুক তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ভ্যাট রিটার্ন গত ১৫ জুলাই জমা দিয়েছে। যার মধ্যে ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড দুই কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৯ টাকা, ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ২৪ হাজার ৭০ টাকা ও ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ২৫ হাজার ৬ টাকা জমা দিয়েছে।

এর আগে গত ১৩ জুন ভ্যাট পরিশোধ ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়াসহ সরাসরি ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা পেতে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নেয় ফেসবুক। অলনাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেসবুক তিনটি পৃথক বিআইএন নিবন্ধন পেয়েছে। যে তিন প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হলো- ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড, ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড ও ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল। ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে ও তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।

অন্যদিকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা ও দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দফতরগুলো খোলা রয়েছে।

Related posts

ছয় মাসেও মেরামত হয়নি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

News Desk

শেষ হচ্ছে ফেরিঘাটের ভোগান্তি

News Desk

মহামারিতে উৎপাদন-রপ্তানি অব্যাহত রাখা বড় অর্জন: সালমান এফ রহমান

News Desk

Leave a Comment