পঞ্চগড়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রভাকর পাল (২৬) নামে এক যুব্ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে পুলিশ তাকে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার লিটন বাদী হয়ে শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাটের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মানহানিকর তথ্য প্রচার ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম’ পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি। গ্রেফতার প্রভাকর পালের বাড়ি জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার বিষ্ণু পালের ছেলে।
প্রভাকর পাল শনিবার তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘আনোয়ার সাদাত সম্রাট আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিহিংসার আশ্রয় নিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের রাজনীতিতে বাধাগ্রস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। আমাকে বিদ্রোহী প্রার্থীর আত্মীয়কে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিয়ে না করলে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হয়।’ অতিদ্রুত জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পরে প্রভাকরের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, সেই পোস্টটি আনোয়ার সাদাত সম্রাট দেখার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রভাকরকে খুঁজতে থাকেন। পরে চার ঘণ্টা পর ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাসটি ডিলিট করা হয়। এদিকে, নেতাকর্মীরা খোঁজখুঁজির পর প্রভাকর তার ফেসবুক আইডিতে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সম্রাট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। আমি ভুল স্বীকার করেছি ভাইয়ের কাছে।’
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, এই ঘটনায় আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত। বিষয়টি নিয়ে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় সদর থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন মো. ফারুক ফিরোজ জানান, রবিবার দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে ওই যুব্ককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। পরে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তুললে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।