ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই মামলা করেন ছাত্র ইউনিয়নের শরীয়তপুর জেলার সভাপতি সাইফ রুদাদ। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিএফ) এক প্রতিবাদ সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, ‘কাদের মোল্লা (রাজাকার) ছাত্র ইউনিয়ন করতেন’। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। ডা. জাফরুল্লাহর এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছিল।
সাইফ রুদাদ বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য নাম। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল ন্যায্য আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। সেই সংগঠনকে ইতিহাসের ঘৃণিত এক ব্যক্তির নামের সঙ্গে জড়ানো ইতিহাস বিকৃতির শামিল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ছাত্র ইউনিয়নের ইতিহাস বিকৃত করে জাফরুল্লাহরা বাংলাদেশের ইতিহাসকেই বিকৃর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে। তিনি যদি প্রমাণ দিতে না পারেন তাহলে দেশের আইনে তার বিচার হবে।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান রোকন বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে ভুল তথ্য প্রদান এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের জানতে হবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার চাই।
উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।