ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সঙ্গে ইরানের চাবাহার বন্দরের সরাসরি জাহাজীকরণ ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) গুলশান সেন্টারে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি সংগঠনটির সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ও ইরান ডি-৮ এর সদস্য। সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের পাশাপাশি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এভিয়েশন প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে দেশ দুটো একযোগে কাজ করতে পারে।
২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৩০ এবং ১৮ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট ও পাট পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, চা, ঔষধ, সিরামিক প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ হতে আরও বেশি হারে আমদানির জন্য ইরানের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
তাই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিটুবি সেশন আয়োজন ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আদান-প্রদানের প্রস্তাব করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষি পণ্যের বহুমুখীকরণে একযোগে কাজ করতে ইরান অত্যন্ত আগ্রহী। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই দেশ দুটির অর্থনীতিকে আরও বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।