ইলিশ বন্ধ, পাঙাশে গন্ধ!
বাংলাদেশ

ইলিশ বন্ধ, পাঙাশে গন্ধ!

গত ১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সামুদ্রিক মাছ না থাকায় উপকূলের বিভিন্ন বাজারে দেশি মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সবচেয়ে কম দামের মাছ পাঙাসের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। ফলে উপকূলের মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে মাছের বাজার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশ ২০০, চিংড়ি ৮০০-৯০০, কোরাল ৮০০-১০০০, রুই (ছোট) ২০০, কাতল (সাইজভেদে) ৩০০-৪০০, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও সোনালি মুরগি ৩৭০ টাকা ও গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে।

এ বিষয়ে কথা হয় মাছবিক্রেতা আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও অনেকসময় প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি চলছে অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা)। তাই মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

মাছ ব্যবসায়ী হাফিজুর বলেন, ‘ঊর্ধ্বমুখী বাজার মোটেই পড়তির দিকে নেই। সকল জিনিসপত্রের মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছেন। কেউ কেউ রাগান্বিত হয়ে চলেও যান মাছ না কেনে।’

অপর এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে ডাকের (নিলাম) মাধ্যমে আমি চিংড়ি কিনেছি ৭৫০ টাকা দরে। আমার মজুরি ও আনুষঙ্গিক খরচ আছে সে হিসেবে আমাকে কখনও ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। বাজারে মাছ না থাকায় দামটা একটু বেশি বাড়তির দিকে।’

নাগালে নেই পাঙাসও

মাছ কিনতে আসা খলিল সিকদার বলেন, ‘আমরা যারা গরিব তাদের চাহিদা থাকে পাঙাশের দিকে। সেই পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আমরা যাবো কোথায়?’ তার অভিযোগ, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষজন কোনও জিনিসে হাত লাগাতে পারছেন না।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।’

Source link

Related posts

গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমেছে

News Desk

ঈদের ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বেড়েছে পর্যটক

News Desk

সপ্তাহে ৩ দিন ভারত থেকে ফিরতে পারবেন পাসপোর্ট যাত্রীরা

News Desk

Leave a Comment