ঈদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার ভোগান্তি কমিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক বা ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকেই এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজায় গাড়ির চাপ বাড়ে। তবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। দুপুরের পর টোল প্লাজা থেকে ভাঙ্গা গোল চত্বর পর্যন্ত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেগুলো ধীর গতিতে চলছে। তবে যানজট হয়নি।
বরিশালগামী যাত্রী আয়েশা আক্তার বলেন, পদ্মা সেতু এবং এক্সপ্রেসওয়ের কারণে আমরা এবার ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে পৌঁছাতে পারছি। গত ঈদে ১০ ঘণ্টা লেগেছিল বাড়ি পৌঁছাতে। ফেরিঘাটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। ঢাকা প্রান্তে কিছুটা যানজট রয়েছে, ঈদের কারণে এই সামান্য সমস্যা সকলেই মেনে নিচ্ছে। এবার মাত্র চার ঘণ্টায় বাড়িতে পৌঁছাতে পারবো।
ফরিদপুরের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক মো. নাহিদুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে (ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল প্লাজায় তিন শিফটে কাজ করছে কর্মীরা। বর্তমানে ৮টি বুথ দিয়ে টোলগ্রহণ করা হচ্ছে। গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী গোল্ডেন পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতুর ঢাকা প্রান্তে যানজট আছে, তবে সেতু পার হওয়ার পর তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। এপারেও কিছুটা রয়েছে, তবে ওপারের তুলনায় বেশ কম।
ইলিশ পরিবহনের আরেক যাত্রী শহিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, গত ঈদে বাড়ি ফিরতে যে ভোগান্তিতে পড়েছিলাম, এবার খুব সহজেই চলে আসলাম। খুব সহজেই গ্রামে ফিরতে পারছি।
মাদারীপুর রিজিওনের ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তি মুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর জোনে ২৪ ঘণ্টাই ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত রয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যে সকল মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে আমাদের জোনে এসেছেন, তারা সহসাই শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পেরেছেন। যাত্রাপথে মানুষের নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।