ঈদের ছুটিতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। সোমবার (১১ জুলাই) ঈদের পরদিন বিকালে দূর-দূরান্ত থেকে বন্ধু ও পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেকে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল নদী তীরজুড়ে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা হৃদয় হাসান বলেন, ‘পাঁচ বন্ধু মিলে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ি আসি। এরপর যাত্রাবাড়ি থেকে বাসে করে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এসেছি। আসলে এই সেতু আমাদের গর্বের জিনিস। পদ্মা সেতু দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে একটু আক্ষেপ রয়েছে। সেতুর মাঝখানে নামতে পারলে আরও ভালো লাগতো।’
ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে আসা রায়হান আহমেদ রাফি বলেন, ‘আমরা রোজার ঈদে বাড়িতে যাই। তবে কোরবানির ঈদে ঢাকায় থাকি। ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে রওনা হই। ঢাকা পের হতেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে যে সড়ক দেখে আমরা মুগ্ধ। শিমুলিয়া ঘাটে এসে ১৫০০ টাকা দিয়ে ট্রলার ভাড়া করে সেতুর কাছাকাছি গিয়ে দেখে আসলাম। পদ্মা সেতু কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লেগেছে।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে আসা ইসমাইল তারুকদার সামি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু। এই সেতু ঘিরে আমাদের অনেক আশা এখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেতুর কাছাকাছি ঘুরে বেড়ালাম। যদি সেতুর উপরে উঠতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগতো।’
মুন্সীগঞ্জ টুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু দেখতে অনেকে আসছেন। তাদের নিরাপত্তা দিতে আমরা সার্বক্ষণিক সেতু এলাকায় কান্দিপাড়া মৎস আড়ৎ শিমুলিয়া ফেরিঘাটে টহল দিচ্ছি।