ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। নেই মানুষের ভিড় ও যানবাহনের বাড়তি চাপ। বুধবার (১১ মে) ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছে। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি রয়েছে।
ফেরিঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫-৬ দিন ধরে ঈদ উদযাপন শেষে এই ঘাট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন কয়েক লাখ মানুষ। অধিকাংশ যাত্রী কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় আজ অনেকটাই ফাঁকা দৌলতদিয়া ঘাট। ফলে ভিড় ভোগান্তি কমেছে। তবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসা কিছু যাত্রী, রিকশাচালকসহ সাধারণের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুল পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ৫নং ফেরি ঘাটে গিয়ে আরও দেখা যায়, গতকাল দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পন্টুন ও ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কে কাদামাটিতে পিচ্ছিল হওয়ায় ফেরি থেকে গাড়ি লোড আনলোডে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের সারি তৈরি হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর থেকে আসা নারায়ণগঞ্জগামী মেশিনারি বোঝাই ট্রাকচালক বাপ্পি বলেন, আমি দেড় ঘণ্টা হলো ফেরির জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছি। মনে হচ্ছে, আর এক ঘণ্টার মধ্যে নদী পার হতে পারবো। ভেবেছিলাম আজ সারা দিন ঘাটে বসে থাকতে হবে। কিন্তু ঘাটে আজ গাড়ির চাপ নেই। ভালো লাগছে আজকের ঘাটের পরিস্থিতি দেখে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে। বনলতা ফেরি (ইউটিলিটি) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দিন যাত্রী ও যানবাহনের চাপে ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মোটরসাইকেলের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে আজ সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যানবাহন ও ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।