কক্সবাজারের উখিয়ায় গুলি করে রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ জসিমকে (২৫) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জসিমের মা সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে মৌলভী শফিক নামের একজনকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেছেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে।
আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১০) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন ও মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিক জসিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা থেকে আজ ভোররাত পর্যন্ত বালুখালী পানবাজার এপিবিএনের একটি বিশেষ দল অভিযান চালায়। আশ্রয়শিবিরের ৯ ও ১০ নম্বর ব্লকে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বালুখালী ৯ নম্বর ব্লকের নজির আহম্মদের ছেলে মো. একরাম উল্লাহ (৩০), বালুখালী ১০ নম্বর ব্লকের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. শাকের (৩৮), কালা হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জাবের (২৩), শেখ আহম্মদের ছেলে নুরুল আমিন (২৭) ও হামিদ হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (১৯)। তাঁরা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক।
উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পালংখালী এলাকার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১০) হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই আশ্রয়শিবিরের ১৬-এফ ব্লকের ঘর থেকে ডেকে মোহাম্মদ জসিমকে পাশের রাস্তায় নিয়ে যায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এরপর গুলি করে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।