সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এ লায়েকের বিরুদ্ধে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার নামে ২০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও ও ভিডিও আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাউন্সিলর এ কে এ লায়েককে কথা বলতে শোনা যায়। ওই ব্যক্তিকে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার বিষয়েও কাউন্সিলরের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে শোনা যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তরাধিকারী সনদ পেতে হলে সনদপ্রত্যাশী ওই ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক জানান। কাউন্সিলরকে এ-ও বলতে শোনা যায়, উত্তরাধিকারী সনদ জেলা প্রশাসন দিয়ে থাকে। তাই টাকা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে।
তবে নগরের বাসিন্দাদের উত্তরাধিকারী সনদ পেতে হলে কোনো ধরনের ফি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় না বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, একজন কাউন্সিলরই মূলত উত্তরাধিকারী সনদ দিয়ে থাকেন। তবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে নাগরিককে উত্তরাধিকারী সনদ দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর এ কে এ লায়েকের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল রিসিভ করেন। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার তাঁর স্বামীর টনসিলে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তিনি আপাতত কথা বলতে পারছেন না। ছড়িয়ে পড়া অডিও ও ভিডিও রেকর্ড প্রসঙ্গে নাসিমা আক্তার প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, এটা তাঁর স্বামীর কণ্ঠ নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ বদনাম ছড়াচ্ছেন। তাঁর স্বামীকে ফাঁসানোর জন্যই কেউ এমন করেছেন। হয়তো কারও স্বার্থে আঘাত পড়েছে, তাই এমন অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।