দেশের গণপরিবহনে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত হতে যাওয়া মেট্রোরেলের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ মাসেই। দুটি স্টেশন ও ট্রেনের সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলমান থাকায় অনেকের মনে প্রশ্ন—এ মাসে মেট্রোরেল উদ্বোধন হলেও এতে চড়তে পারবেন কিনা।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পরদিনই যাত্রী সাধারণ মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনের পরের দিনই মানুষ মেট্রোরেলে চড়তে পারবে। নতুন কোনও দেশে এমআরটি চালু হলে সেখানে যেভাবে যাত্রী পরিবহন করা হয়—আমরা সেভাবেই করবো।’
তিনি জানান, প্রথমদিকে প্রতিটি ট্রেনের সক্ষমতার চেয়ে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলবে, পরে ধীরে ধীরে তা বাড়ানো হবে।
এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধনের জন্য আমরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়ে রেখেছি। আমরা এখনও এর কোনও ফিডব্যাক পাইনি।’
কাজীপাড়া ও শ্যাওড়াপাড়া দুটি মেট্রো স্টেশনের চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন—এই দুটি স্টেশনের কিছু কাজ এবং আগারগাঁও স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ বাকি আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শ্যাওড়াপাড়া স্টেশনে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেখানে চ্যালেঞ্জ হলো—চারটি প্রবেশ-প্রস্থানের লিফট ও সিঁড়ি এবং দুটি লিফট ও দুটি এস্কেলেটর সংক্রান্ত। একটা এস্কেলেটরের স্পেস নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আমরা জমি অধিগ্রহণ করেছি। কিন্তু জমির মালিক বলছেন—টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি জায়গার দখল ছাড়বেন না। আমরা তাকে বুঝানোর পর দু-তিন দিন হলো তিনি জায়গার দখল ছেড়েছেন। আমরা এ কাজটা ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করে দিবো।’
ট্রেন এখন জাপানি চালকরাই চালাচ্ছেন, বাংলাদেশি চালকরা কবে চালাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রেনগুলো একটা পর্যায়ে বুঝে নেবো। বুঝে নেওয়ার পর আমরা পরিপূর্ণভাবে চালাবো। এখন আমাদের সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বুঝে নেবো না। এখন ব্ল্যাংক অপারেশন চলছে। আমাদের চালকরা এখন জাপানিদের থেকে শিখছে। এ মাসের (নভেম্বর) পরে আমাদের ছেলেরাই চালাবে।’
তিনি জানান, ৩০ নভেম্বর সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এটা হয়তো একটু দেরি হতে পারে।