বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির উপদেষ্টা আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিটি প্রোগ্রামে লক্ষ লক্ষ লোক এসেছে। তারা কেন এসেছে! তারা এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। আজকে গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই, ব্যাংকে টাকা নাই। তারা (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা অনেক কথা বলে। তারা নাকি উন্নয়নের জোয়ার এনেছে। এখন দেখি দেশকে দুর্নীতির জোয়ারে ভাসিয়েছে।’
আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের রেস্ট ইন হোটেলের সম্মেলনকক্ষে জেলা বিএনপির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন। ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ সফল করতে সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।
সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান। জেলা কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে আসিনি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করি না। বিরোধী দল হিসেবে সরকারের সমালোচনা করি। এটা আমাদের ডিউটি। সারা দুনিয়ায় বিরোধী দলের ডিউটি হচ্ছে সরকারের ভুল ধরিয়ে দেওয়া। যাতে সরকার ভুল সংশোধন করে সঠিক পথে চলে।’
গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির দলনেতা ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের চেয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা এখন কমপক্ষে এক শ মাইল সামনে এগিয়ে আছে। আমরা তো কাউকে চার দিন আগে বরিশালে আসতে বলি নাই। কাউকে তিনদিন আগে আসতে বলি নাই। ভেলায় পাড়ি দিয়ে তাঁবু নিয়ে চাল–ডাল–তরকারি নিয়ে আসতে বলি নাই। মনের তাগিদে তারা এসেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে এসেছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অনেকে সামনে এগিয়ে আসছে। সুতরাং আমরা যারা নেতৃত্বে আছি। আমরা যেন সতর্ক হই। যারা যেখানে দায়িত্বে আছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।’
গণসমাবেশ প্রস্তুত কমিটির সমন্বয়কারী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান বলেন, সরকারের শত বাধা উপেক্ষা করে সারা দেশে বিএনপির গণসমাবেশে মানুষ ট্রেনে, নৌপথে, পায়ে হেঁটে উপস্থিত থেকে সরকারের গদি কাঁপিয়ে দিচ্ছে। সিলেটের সমাবেশেও মৌলভীবাজারের পক্ষ থেকে এভাবে দলে দলে যোগ দিয়ে মহাসমাবেশের রূপ দিতে হবে।