মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে এক ব্যক্তিকে আচমকা হামলা করে এক যুবক। চড়-থাপ্পড়, একপর্যায়ে কিল-ঘুষি, এলোপাতাড়ি লাথি ও ইট দিয়েও আঘাত করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুমিল্লার এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তিন মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বৃহস্পতিবার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের।
ওই ভিডিওর সূত্র ধরে জানা গেছে, হামলার শিকার ব্যক্তি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক জিএস মো. মোকবল হোসেন (মুকুল)। হামলাকারী ওই যুবকের নাম নুরুনবী। স্থানীয়রা তাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবেই জানে।
এ ঘটনার পর হামলাকারী নুরনবীসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার ওই চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আহত ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে আছেন।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের ফটক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন আরোহী। ফটকের সামনে আসতেই এক যুবক এসে আচমকা তার গলায় ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন। পরে শার্টের কলার ধরে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে আড়ালে নিয়ে আরও মারধর করা হয়। পরে মারতে মারতে তাকে উপজেলা পরিষদের ভেতরে নিয়ে আসেন। এ সময় কয়েকজনকে হামলাকারী ওই যুবককে নিবৃত্ত করতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি শান্ত না হয়ে উল্টো আবারও চেয়ারম্যানকে মারতে আসেন। এ সময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রিকশায় উঠে চলে যেতে চাইলেও ওই যুবক তাকে রিকশার সামনে গিয়ে আবার মারতে চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পাশে থাকা ইট দিয়ে তাকে আঘাত করতে দেখা যায়।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদের ভেতরে জরুরি কাজে যাচ্ছিলাম। এমন সময় স্থানীয় নুরুনবী আমার গতিপথ রোধ করে কোনও কিছু না বলেই এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মারে ও ছুরিকাঘাত করে। তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে এলেও ব্যর্থ হয়। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরুনবীর মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণধর বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহত চেয়ারম্যান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’