৬ষ্ঠ থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃত্তির টাকা পাঠানো হয়েছে। এই টাকা তুলতে বাড়তি ক্যাশ আউট চার্জ না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোনো শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা থেকে ক্যাশ আউট চার্জ কাটতে পারবে না মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারসহ কোনও এজেন্ট। উপবৃত্তির সমপরিমাণ অর্থ শিক্ষার্থীদের না দেওয়া হলে লিখিতভাবে অভিযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মোর্তাজা মামুন।
বুধবার (১৯ মে) সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির পাঠানো হয়েছে।
মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য এক হাজার ২০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৫০০, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৮০০ এবং দশম শ্রেণির (২০২১ সালের পরীক্ষার্থী) শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৮০০ টাকা উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হয়েছে। আর উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৪০০ টাকা পাঠানো হয়।’
নির্ধারিত এই অর্থ থেকে ক্যাশ আউট চার্জ কাটতে পারবে না মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার বা কোনও এজেন্ট। সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের সমপরিমাণ অর্থ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’