স্থানীয় বাজারের তুলনায় শাকসবজির দাম কম। সব সবজি ১০-১৫ টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন লোকজন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি কিনতে সেখানে ভিড় করেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছেন জয়পুরহাটের যুবক রাজ কুমার খেতান। তার বাজার থেকে কম দামে সবজি কিনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘শখের বাজার’ ব্যানারে প্রতিদন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের সোনারপট্টি শিব মন্দিরে রাজ কুমার নিজ উদ্যোগে এই বাজার বসান। বাজার পরিচালনার জন্য কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী রেখেছেন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইন ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনছেন ক্রেতারা। এই বাজারে এক পিস ফুল কপি ১০, বাঁধা কপি ১০, এক হালি কাঁচা কলা ১০, এক পিস লাউ ১০, এক কেজি পেঁপে ১০, এক কেজি আলু ৩০, এক কেজি বেগুন ৩০, এক কেজি পটল ৩০, এক কেজি মুলা ৩০, এক কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ ও টমেটোর কেজি ৮০ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এত কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি তারা।
বাজারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন অন্তিতা বর্নী শিবানী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা বাজারে শাকসবজি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে আমাদের এই বাজারের আয়োজন। কম দামে আমরা মানুষের মাঝে সবজি পৌঁছে দিতে পেরে অনেক খুশি।’
বাজারে সবজি কিনতে আসা শহরের রিকশাচালক মিঠু বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। সারাদিন রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে চাহিদামতো বাজার করতে পারছি না। রাজ কুমারের দোকানে সব ধরনের সবজি স্থানীয় বাজারের তুলনায় অনেক কম। আজ অনেকদিন পর কম দামে অনেক পদের সবজি কিনতে পেরে আনন্দিত। এমন বাজার জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সবার মাঝে স্বস্তি আসবে।’
বাজারের উদ্যোক্তা রাজ কুমার খেতান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কষ্ট দেখে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ যেন একটু স্বস্তি পায়। ক্রেতার কথা মাথায় রেখে আগামীতে বিক্রয়কেন্দ্র ও পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাজার সিন্ডিকেট নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এভাবে সবজি বিক্রির কার্যক্রম চালাবো। শুরুটা এক হাজার পরিবারের মধ্য দিয়ে শুরু করলেও এখন প্রতিদিন তিন হাজার পরিবারের মাঝে কম দামে সবজি বিক্রি করছি।’