সরকার নির্ধারিত দামে চট্টগ্রামের কোথাও বিক্রি হচ্ছে না ডিম। প্রতি পিস ডিম খুচরায় ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে ডিমের কোনও ঘাটতি নেই। আছে পর্যাপ্ত সরবরাহ।
সরকার ঘোষিত ডিমের দাম খুচরায় ১১ টাকা ৭৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১০ পয়সা এবং উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৮০ পয়সা করে বিক্রির কথা রয়েছে।
তবে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় এখনও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা করে। সে হিসেবে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার বেশি। অথচ খুচরায় সরকার বেধে দেওয়া দাম ১১ টাকা ৭৯ পয়সা।
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী বাজার ডিম ব্যবসায়ী আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কুর লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ সকালে পাহাড়তলী বাজারে প্রায় ১৫ লাখের মতো ডিম ঢুকেছে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে আমরা ডিম বিক্রি করতে পারছি না। কেননা আমাদের ডিম কেনা বেশি পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এ বাজারে ১৫ জন আড়তদার এবং ৩০ জন পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছে। পাইকারিতে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ১০ পয়সা করে বিক্রি করার কথা অথচ আজ ডিম কিনতে হয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা করে। আমরা ২০ পয়সা লোকসান দিয়ে ১২ টাকা করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা সরাসরি খামার থেকে ডিম কিনতে পারছি না। খামার থেকে ডিম কিনছে আরেকটি মধ্যস্বত্বভোগী গ্রুপ। আমরা যদি সরাসরি খামার থেকে ডিম কিনতে পারতাম, তাহলে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারতাম।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চট্টগ্রামে এখনও কোথাও সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে না। তবে দাম কমেছে। দুই একদিনের মধ্যে ডিমের দাম আরও কমে আসবে। তখন সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি হবে বলে আশা করছি।