একদিনের বৃষ্টিতে নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরের প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কই পানির নিচে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নাগরিকেরা। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই শহরবাসীর দুর্ভোগ দেখা দেয়। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পানিতে ডুবে গেছে বিভিন্ন সরকারি অফিস। জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নিচতলা। অফিস কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। ডুবে গেছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের বাসভবনের সড়ক। এ ছাড়া পানিতে ডুবে গেছে জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা মৎস্য অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিস।
এদিকে, জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী, অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৬ ঘণ্টায় ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আমার অফিস ও সড়ক ডুবেছে। আমিও জলাবদ্ধতায় আটকে আছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, ‘জলাবদ্ধতা রোধ প্রকল্পে শহর ও আশপাশের ১৬১ কিলোমিটার খাল খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী। সেই সঙ্গে নোয়াখালী খালও খনন করা হয়েছে, যেটি নোয়াখালীর দুঃখ ছিল। তবে পুরোপুরি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ড্রেন ও নালা রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, ‘সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তির বিষয়ে আমি খবর পেয়েছি। আসলে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় এমন হয়েছে। আমার কর্মীরা কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে এটি হয়েছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে এটির সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।’