স্থানীয় রাখাইন মিশ্রি তালুকদারের নাম অনুসারে এই গ্রামের নামকরণ করা হয়। এক সময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ গ্রামটি এখন প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
এই গ্রামের রাখাইন মার্কেটের সামনেই মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরে রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। কুয়াকাটার প্রাচীনতম এই নিদর্শন দেখতে যাওয়ার আট কিলোমিটার পথের প্রায় চার কিলোমিটার পথই এখনো মাটির। তাই এখানে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে।
অন্যদিকে বিলুপ্তির কাছাকাছি এই পল্লীর তাঁত শিল্পও। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগে এই পল্লীতে ৮০টি পরিবার তাঁতের কাজ করলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১০ এর ঘরে। যারা এখন এ কাজে নিয়োজিত আছেন তারাও শুধু অবসর সময়ে নিজের জন্যই কাপড় বোনেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সুতার অতিরিক্ত দাম ও সহজলভ্যতা না থাকায় কাঁচামালের খরচ বেশি পড়ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত সময় ও মজুরি স্বল্পতায় এ পেশা ছেড়েছেন অনেকেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, “এখন তো সুতাই পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তার দামও অনেক। বিক্রি করে যে দাম পাওয়া যায় সেই দামে পোষায় না।“
তথ্য সূত্র : https://hello.bdnews24.com/