এনআইডির সঙ্গে মেলেনি কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন
বাংলাদেশ

এনআইডির সঙ্গে মেলেনি কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

নরসিংদীর রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে ৫ জনের মরদেহ পাওয়ার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে পরিচয় না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের বেওয়ারিশ কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। বেলা ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. শহিদুল্লা।

তিনি বলেন, ‘সোমবার (৮ জুলাই) রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে। এরপর মরদেহগুলো পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বাধ্য হয়েই পরবর্তীতে সেগুলো স্টেশন নিকটস্থ বেওয়ারিশ কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে তাদের পরনের কাপড় সংগ্রহে রাখা হয়েছে। মুখের লালা ও দাঁত রাখা হয়েছে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট করার জন্য।’

এর আগে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে উপজেলার খাকচক এলাকায় ‘তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয় বলে ধারণা পুলিশের। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে ৫টি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায়। পরে খবর দিলে রেলওয়ে পুলিশ সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিহতরা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছে নাকি রেললাইনে বসা অবস্থায় কাটা পড়েছে অথবা অন্য কেউ মেরে মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখার পর মরদেহ কাটা পড়েছে—এসব নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পরে দুপুর ১২টা নাগাদ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করলে তারাও মরদেহের পরিচয় বের করতে পারেনি। পাঁচ মরদেহের কারও ফিঙ্গারের সঙ্গেই কোনও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মেলেনি।

ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মৃতদের কোনও পরিচয় না পাওয়ায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অনেকেই ধারণা করছেন, তারা (নিহত) ৫ জন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কিংবা মাদকাসক্ত হয়ে রেললাইনে পড়ে ছিল। তারপর তাদের ওপর দিয়ে ট্রেন গিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল্লা বলেন, ‘মৃতদের মুখের লালা রাখা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে। আর পরিচয় শনাক্তে নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় আমাদের সদস্যরা কাজ করছে।’

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জমির বলেন, ‘পাঁচ মরদেহের কারও ফিঙ্গারের ছাপের সঙ্গে কোনও আইডি কার্ডের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। নিহতরা উদ্বাস্তু ধরনের মানুষ ছিলেন বলেন ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের বয়স নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন:

Source link

Related posts

বাস-পিকআপ সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ২ জনের

News Desk

‘সাংগ্রাই জলোৎসব’ যেন পাহাড়ে এক মিলন মেলা

News Desk

করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

News Desk

Leave a Comment