দেশের সর্বস্তরের জনগণের কথা ভেবে, বিশেষ করে গরিব-দুঃখী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা মাথায় রেখেই এবারের বাজেট করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার দুপুরে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি একটি বাস্তবভিত্তিক, সময় উপযোগী, ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা ও সংকটকালে বাস্তবধর্মী বাজেট। ইতিমধ্যে অনেকে এ বাজেটের প্রশংসা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ টাকা। এখন ২ হাজার ২২৭ টাকা। বিএনপি সেটা কল্পনাও করতে পারেনি। সে জন্যই তারা আবোলতাবোল লিখছেন। অন্ধ, বিদ্বেষপ্রসূত কথামালার চাতুরী বিএনপির বাজেট সমালোচনা। তারা ভালো কিছু চোখে দেখে না। দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে।’
করোনাভাইরাসের মধ্যেও সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাই। ঢাকঢোল না পিটিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী সদস্য সংগ্রহ করব। যারা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু এবং চিহ্নিত মাদকাসক্ত-এই ধরনের লোক ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপশক্তি এদের কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন কাউকে খুশি করার জন্য, দলবাজি করার জন্য বিতর্কিতদের যদি কেউ টেনে আনে, তাহলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রত্যেককেই জবাবদিহি করা হবে। ক্ষমতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, আর কাজে কর্মে ভিন্ন-এ ধরনের লোকের আমাদের কোনো দরকার নেই।’
আওয়ামী লীগে নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃসময়ে তারাই পাশে থাকেন। সুসময়ের কোকিলরা তখন সটকে পড়ে। তাদের জন্য রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। তাদের কোণঠাসা করলে, দল কোণঠাসা হয়ে যাবে।’ জাতীয় সংসদের ঢাকায়, কুমিল্লা ও সিলেটের চারটি আসনে উপনির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘১২ তারিখে মনোনয়ন বোর্ড গড়া হবে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে। আজ থেকে মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু হয়েছে।’