প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ‘কালো মানিক’।
চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছেন ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের জাকির হোসেন সুমন। গত বছর কোরবানির ঈদের আগে ষাঁড়টির নাম দিয়েছিলেন ‘কালো মানিক’। ত্রিশালসহ শহরেও নামটি এখন বেশ পরিচিত। এবার ঈদের আকর্ষণীয় এই ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন সুমনের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে সুমন গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ ফুট, আর লম্বা ১০ ফুটেরও বেশি। ওজন ১৫০০ কেজি, অর্থাৎ ৩৭ মণ হবে বলে দাবি সুমনের। ৩০ লাখ টাকা দাম পেলেই তিনি গরুটি বিক্রি করবেন বলে জানান। ‘কালো মানিক’কে চিকিৎসা দিয়ে আসা স্থানীয় পশু চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিয়মিত এই গরুটিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হয়েছে। তাই তার মাংসও সুস্বাদু হবে বলে দাবি তার।
এবারের কোরবানি ঈদে দেশের বাইরে থেকে বৈধ ও অবৈধ গরু আসার সুযোগ না থাকায় মালিকরা গবাদি পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে গবাদি পশু অনলাইনে কেনাকাটায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।