সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে চলেছে বিআরটিসি ও কাছের রুটের কিছু গাড়ি। পিকেটার ছাড়াই এই আংশিক অবরোধ চলছে জেলার মহাসড়কে।
শহরের বাস টার্মিনাল ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাকগুলোও দাঁড়ানো ঢাকা-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের দুপাশে। অবরোধে বিভিন্ন দুর্ঘটনার ভয়ে কেউ রাস্তায় নামাচ্ছেন না যানবাহনগুলো। ব্যস্ত সড়কগুলোও স্বাভাবিক দিনের তুলনায় খালি দেখা গেছে।
যে গাড়িগুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি নিয়ে চলছে, সেগুলোতেও যাত্রীর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। অবরোধে কখন, কোথায় কী হয় এই ভয়ে যাত্রীরা আসছেন না বলে ধারণা করছেন টার্মিনাল বাস কর্তৃপক্ষ। অসুস্থরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে, তারা শহরে আসতে পারছেন না চিকিৎসা নিতে।
জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বেশিরভাগ কাউন্টার বন্ধ ছিল। খোলা ছিল কেবল একটি কাউন্টার। সেখানকার কাউন্টার ম্যানেজার রফিক বলেন, ‘এভাবে অবরোধে দিনের পর দিন গাড়ি বন্ধ হয়ে থাকলে আমাদের খাবার জুটবে না। আমরা খাবো কী, সংসার চালাবো কী করে? তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় কিছু গাড়ি নামিয়েছি।’ তবে যাত্রী অনেক কম বলে মনে করছেন তিনি।
তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল লক্ষ করা গেছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে।