নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শুক্রবার (১১ জুন) সকালে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, কাদের মির্জা হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। অভিযোগটি আমি নিজেই তদন্ত করছি। কাদের মির্জা অভিযোগে উল্লেখ করেন, এমপি একরাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ তার তিন ভাগ্নে দেশের মধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।
এ ছাড়া আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নুরুল করিম জুয়েল, তার শ্বশুর আল-আমিন, সেলিম চৌধুরী, ভিপি বাবুল, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান ছোটনসহ অনেকে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করছেন। এতে তিনি ৯৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।
অভিযোগে কাদের মির্জা আরও বলেন, শনিবার (০৫ জুন) আমেরিকার সময় রাত ১০টায় ও পরদিন রোববার (০৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় এমপি একরামের কবিরহাটের বাড়ি ও আমেরিকায় আল-আমিনের ম্যাকডোনাল্ডের বাড়িতে বিবাদীরা বৈঠক করে তাকে (কাদের মির্জা) হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন। এ ছাড়া বুধবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় তার ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় বৈঠক করে কাদের মির্জার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও তার পরিষদের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অনাস্থা দিয়ে তাকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে বার বার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে সভার বিষয়টি স্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু বলেন, গত বুধবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় তার বাসায় আওয়ামী লীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কিভাবে দলীয় কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে ওই সভায় কাউকে হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা হয়নি। এমনকি কাউকে হামলা বা পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনাও হয়নি।