চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে হবে বা আদৌ হবে কি না, সেটি এখন আর কেউ জানে না। করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্লাস না হওয়ায় সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনাটিও ভেস্তে গেছে। তবুও আশা ছাড়ছেন না শিক্ষামন্ত্রী। এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি দেখে তা বিবেচনা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
মঙ্গলবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে রোববার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি। কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কি না, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকলে- তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু আমাদের চিন্তা-ভাবনা আছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জুলাই থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা গেলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। তবে যদি ছুটি বাড়ানো হয় তাহলে বিকল্প চিন্তা হিসেবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখেছে তার একটা মূল্যায়ন করে গ্রেড দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে আগের জেএসসি ও নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলকে আমলে নেয়া হতে পারে।
গত বছরের মার্চে সংক্রমণ দেখা দেয়ার আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান। ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।