Image default
বাংলাদেশ

এ বছর ভালো ফলাফলের মূল কৃতিত্ব শিক্ষার্থীর নিজের

৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে দেশসেরা হয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ পরীক্ষার্থী। এই সাফল্যের বিষয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীবের সঙ্গে।

প্রথম আলো: যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেশসেরা ফলাফলের বিশেষ কোনো কারণ আছে?

আহসান হাবীব: অন্য বছর শিক্ষার্থীরা ৬টি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসেছে। কিন্তু করোনার কারণে এবার ৩টি বিষয়ে ৬টি পত্রে পরীক্ষায় বসে তারা। তা ছাড়া সিলেবাসও ছিল সংক্ষিপ্ত। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপ কম ছিল। তারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আসলে পরীক্ষায় ফলাফল ভালো করার মূল কৃতিত্ব থাকে প্রথমত শিক্ষক, দ্বিতীয়ত শিক্ষার্থী ও তৃতীয়ত অভিভাবকদের। কিন্তু এ বছর মূল কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের। করোনা পরিস্থিতিতে তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের কোনো সুযোগই পায়নি। তারা বাড়িতে বসে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। এরপর অভিভাবক ও শিক্ষকেরা ভূমিকা রেখেছেন। শিক্ষার্থীর ফল ভালো কিংবা খারাপ করার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের তেমন ভূমিকা থাকে না।

প্রথম আলো: কিন্তু পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্যে শিক্ষা বোর্ডের তো একটা ‘গাইড লাইন’ থাকে, সেটা কেমন?

আহসান হাবীব: পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য স্কুলপর্যায়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের শক্তিশালী একটা উদ্যোগ আছে। সেটা হলো নিজস্ব প্রশ্ন ব্যাংক। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বাছাইকৃত দক্ষ শিক্ষকেরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে প্রশ্নব্যাংকে জমা দেন। ওই শিক্ষকেরাই আবার তা মডারেট করেন। পরে মডারেট করা প্রশ্নপত্র বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত প্রশ্নের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। এর প্রভাব পড়ে বোর্ড পরীক্ষায়। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। ওই বছর মাধ্যমিকে যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯০ শতাংশের ওপরে। যশোর বোর্ডের প্রশ্নব্যাংক তৈরি করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার যে উদ্যোগ চালু হয়েছে, এই শিক্ষার্থীরা সেই উদ্যোগের প্রথম ব্যাচ। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষমুখী করার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডর একটা তাগিদ থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

প্রথম আলো: প্রশ্নব্যাংকের আওতায় কলেজ বিভাগকে রাখা হচ্ছে না কেন?

আহসান হাবীব: স্কুল পর্যায়ে সাফল্য পাওয়া গেছে। এখন কলেজ পর্যায়েও প্রশ্নব্যাংক ব্যবহার করা যায় কি না, ভেবে দেখা হচ্ছে। কলেজ পর্যায়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাস্টার ট্রেনার শিক্ষকেরা। ওই শিক্ষকদের প্রশ্নব্যাংকের অধীনে নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে।

প্রথম আলো: উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?

আহসান হাবীব: শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি আছে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ওই মূল্যায়ন কমিটির একটা নিয়মিত বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে পর্যালোচনা হয়। আগামী সপ্তাহে ওই কমিটির সভা আহ্বান করা হবে। সেখানে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ওই আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

 

Related posts

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস-বাসার এসি বন্ধ করে দিলেন ইউএনও

News Desk

এসেছে রামপালের কয়লা, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

News Desk

পেঁয়াজের কেজি ২ টাকা 

News Desk

Leave a Comment