প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই প্লাবিত হয় কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এই সংকট থেকে উত্তরণে তারা ত্রাণ নয়, চান স্থায়ী টেকসই বাঁধ। জনপ্রতিনিধিরাও বলছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ দরকার। আর বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
বাঁকখালী নদীর দু’পাশে বসবাস করছে লাখ লাখ মানুষ। গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদীর বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর প্রবল স্রোতে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘর-বাড়ি, মৎস্য ঘের ও ক্ষেত-খামার সবই পানির তলে। আর পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার স্থানীয়রা।
পানিবন্দি মানুষেরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা পানিতে আটকে আছি, আমাদের দেখার কেউ নেই। ঘর থেকে বের হতে পরছি না, খাবার দাবারও ঘরে নেই। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি প্লাবিত এলাকার মানুষের। তারা দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। এখানে বেড়িবাঁধ করা হলে স্থায়ী সমাধান পাওয়া যাবে। তখন আর বন্যায় প্লাবিত হবে না।
জনপ্রতিনিধিরাও চান দুই বছর পরপর নদীতে ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি স্থায়ী টেকসহ বাঁধ নির্মাণের। কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর যদি নদী ড্রেজিং করা হয়, তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রতিবছর পানিবন্দি হয়ে থাকে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ করা হলেও এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
অবশ্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন। কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, বেড়িবাঁধের দাবি আবার সামনে চলে এসেছে। ইনশাল্লাহ আমরা বেড়িবাঁধ করে ফেলব। গেল কয়েকদিনে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৪ শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি। আর পাহাড় ধস ও ঢলে ভেসে মারা গেছে ৬ রোহিঙ্গাসহ ২০ জন।