এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ৪৪ শতাংশেরই বয়স ৬০ বছরের মধ্যে। আর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় তরুণদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহার বিষয়টিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ঠেকাতে শিশু থেকে শুরু করে তরুণদের কঠোরভাবে স্বাস্থবিধি মেনে চলার পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৯ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে ০ থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৪০ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৭১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৯০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪৮৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১ হাজার ৮১ জন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২ হাজার ৩৯৪ জন। অর্থাৎ মারা যাওয়া ৪৪ শতাংশেরই বয়স ৬০ বছরের মধ্যে। এছাড়া করোনায় মারা যাওয়া বাকী ৫ হাজার ৪৭৭ জনের বয়স ৬০ এর ওপরে।
করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য ডা. এম এ আজিজ বলেন, তরুণদের করোনা হয়না এমন ধারণা থাকলে চলবে না। বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণদেরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়া যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল রোগে ভুগছেন তাদেরকে নিতে হবে বিশেষ সতর্কতা।
করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয় জানিয়ে, লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহবান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।