করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৭৮৭ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ৩০ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৯ জন, বাসায় ১০ জন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন মারা যান।
একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৭২৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে। বুধবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৮ হাজার ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৫ হাজার ৭২৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভি আসে। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫টি। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের গড় হার ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুন) ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭৬ জনের মৃত্যু এবং ৪ হাজার ৮৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ার পর গত ১৩ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
আর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জনের বেশি মৃত্যুর খবর জানানো হয় গত ২৯ এপ্রিল। ওইদিন সারাদেশে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ১৬৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৫ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১০ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৪৬ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী দেখা গেছে, মৃত ৮৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে ১৮ জন, খুলনায় ৩৬ জন, বরিশালে একজন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।