দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ মে থেকে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও মাছের প্রাকৃতিক প্রজণন নিশ্চিতে এ সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, অন্যান্য কর্মকর্তা ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সভায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে আগামী তিন মাস দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এ সময় বন্ধ থাকবে। এই তিনমাস হ্রদের ওপর জীবিকা নির্বাহ করা জেলেদের মাঝেও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ২৫ হাজার জেলে পরিবারের জন্য নিষেধাজ্ঞাকালে ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে হ্রদে ৪৫.৯২ মে. টন পোনা অবমুক্ত করা হয়। মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৯৯.৪৮ মে: টন মাছ অবতরণ হয়েছে। যা থেকে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশসাক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজণন নিশ্চিতকরণে ১ মে থেকে আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করছে। এ সময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে।’