নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুন্না (২০) নামে এক শ্রমিককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাংলাদেশ টায়ার নামক একটি কারখানার গেটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি পলাশপুর এলাকার জাহিদুল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হাজী জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলের দিক থেকে এক তরুণীসহ তিন জন পায়ে হেঁটে পশ্চিম দিকে আসছিলেন। এই তিন জনের একজন ছিলেন মুন্না। বিপরীত দিক থেকে আসা ৬/৭ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় তারা মুন্নার বুকে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে পালিয়ে যান। তরুণীও পায়ে হেঁটে পশ্চিম দিকে চলে যান।
তারা আরও বলছেন, নিহতের সঙ্গে থাকা তরুণীকে নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ হামলাকারীরা তরুণীকে কিছুই বলেনি।
তবে একইস্থানে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া তারেক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, নিহত মুন্নার সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করেন তারেক। সকালে তারেক তার এক সহকর্মীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসছিলেন। পথিমধ্যে বাংলাদেশ টায়ার মিলের সামনে মাস্ক পরা তিন যুবক তাকে ও তার সহযোগীকে থাপ্পড় ও ঘুসি মেরে সঙ্গে থাকা মানিব্যাগসহ নগদ ২১০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মুন্নাও একই সড়ক দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাকেও ওই মাস্ক পরা লোকজন মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে মিলের শ্রমিকরা তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘নিহত মুন্নাকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পরে সঠিক কারণ বলতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ছিনতাই মনে হলেও মেয়ে ঘটিত কোনও কারণে ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।’