দীর্ঘ ২৫ বছর পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ মে) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
নেতাকর্মীরা কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে নেতৃত্ব দাবি করলেও তা হয়নি। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সমঝোতার ভিত্তিতে ৭১ সদস্যের উপজেলার কমিটির সভাপতি পদে বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের নাম ঘোষণা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। মনোনীত সভাপতি ও সম্পাদক পরে ৭১ সদস্যের কমিটি তৈরি করবেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ ও দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এ অঞ্চলের ভূমিকার ওপর ক্ষমতায় যাওয়া, না-যাওয়া নির্ভর করে। কাজেই এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে সুসংহত করতে হবে।
এরআগে, প্রধান অতিথির সঙ্গে অন্য অতিথিরা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে দলীয় এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান। সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ রশিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশকুল ইসলাম টিটু, প্রচার সম্পাদক লুৎফুল আরেফীন গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাব্বীর আহম্মদ মানিক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সুলতান আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক বাদল রহমান, কার্যকরী কমিটির সদস্য আনোয়ার কামাল ও মশিউর রহমান হুমায়ুন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে ১৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন প্রার্থী হন। পরে তাদেরকে সমন্বয় করতে বলা হয়। তবে কোনও সমঝোতা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জনের নাম ঘোষণা করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়া হাজার হাজার নেতাকর্মী দুপুর থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হন। পরে সম্মেলন অনুষ্ঠান বিশাল কর্মী সমাবেশে পরিণত হয়।