কুমিল্লায় এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে
এ ঘটনায় শুক্রবার কুমিল্লার বরুড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই তরুণী।
অভিযোগ দায়েরের পর ওইদিন সন্ধ্যার মধ্যেই পুলিশ কথিত প্রেমিকসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে।
বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, বুধবার রাতে বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ওই ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্যাতিত তরুণীর পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের এগারো গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী কুমিল্লা নগরীর ইপিজেড সংলগ্ন ইয়াছিন মার্কেট এলাকায় হতদরিদ্র মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন। তার সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিনার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে গত বুধবার ঘর থেকে ডেকে নেন মিনার। এরপর রাতে মিনারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তরুণীকে হোসেনপুর গ্রামের একটি খোলা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে ওই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন, আমিনুল ইসলামের ছেলে নোমান হোসেন, গফুর ভূঁইয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া, একই গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই জন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটির পরিবার জানায়, নির্যাতনের এক পর্যায়ে ওই তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে কুমিল্লা নগরীর বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরদিন ভোরে।
ওই তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ওই যুবকদের কবল থেকে বাঁচতে অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা তাকে নির্যাতন চালিয়েছে রাতভর। এরপর সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলেছে – এ ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলবে।
বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, শুক্রবার দুপুরে মেয়েটি বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে। তাদেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হবে।