মহান স্বাধীনতা দিবসে কুমিল্লায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এতে করোনাকালে ঝিমিয়ে পড়া ফুল ব্যবসায়ীরা আলোর মুখ দেখছেন। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, এভাবে ফুল বিক্রি বাড়লে করোনাকালের দুই বছরের লোকসান উঠে আসবে।
নগরীর বিভিন্ন ফুলের দোকানি জানিয়েছেন, কুমিল্লা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় নয়টি, ঝাউতলায় একটি ও পুলিশ লাইনসে একটিসহ ২০টি ফুলের দোকান রয়েছে।
নগরীর পুরাতন ফুল বিক্রেতা মালঞ্চ পুষ্পালয়ের মালিক ইমরান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, জেলা শহরে ২০টি ফুলের দোকান রয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ১৭ উপজেলা শহরে গড়ে ১৫টি দোকান রয়েছে। যেগুলোতে শহরের তুলনায় অর্ধেক বিক্রি হয়েছে। জেলা শহরের ২০টি দোকানে প্রায় ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার উপজেলা শহরে বিক্রি হয়েছে প্রায় এক কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার ফুল।
তিনি বলেন, করোনাকালে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও সবগুলো দিবস ঠিকমতো পালন না করায় ফুল ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল। আমরা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
নগরীর বিসমিল্লাহ পুষ্প বিতানের মালিক মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, শহরের দোকানগুলোতে আমরা প্রতি ফুলের ডালা বিক্রি করি সাইজ অনুয়ায়ী ৩০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আমাদের দোকানে ১০০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত ফুলের ডালা বিক্রি হয়েছে।
চৌদ্দগ্রামের উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজারের ফুল ব্যবসায়ী ও আমেনা পুষ্পালয়ের মালিক ইয়াসিন আলম বলেন, করোনাকালের পর এবার ভালো বিক্রি হয়েছে। এভাবে ফুল বিক্রি হলে আমরা ব্যবসা ধরে রাখতে পারবো।
বুড়িচং উপজেলার বুড়িচং বাজারের ব্যবসায়ী রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনাকালের আগে দোকানের চার জন কর্মচারী ছিল। এখন দুজন আছে। শুধু ২৬ মার্চের জন্য দুজন বাইরের লোক এনেছি। আগের তুলনায় আজকে ভালো বিক্রি হয়েছে।
কুমিল্লা নগরীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আগে ফুলের দাম কম ছিল। ২০০ টাকা দিয়ে ফুলের একটা ডালা পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন ৫০০ টাকা দিয়েও ভালো ফুলের ডালা পাওয়া যায় না।