ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুমিল্লায় রমজানের শেষ ১০ দিনে ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ১৫ রমজানের পর থেকে ভিড় বেড়েছে শপিংমলগুলোতে। তবে শেষ ১০ দিনকে ভাগ্য বদলের সময় বলে মনে করছেন তারা।
শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়, ঝাউতলা, চকবাজার ও রাজগঞ্জ এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শুধু ইফতারের সময় ৩০ মিনিটের বিরতি ছাড়া মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। এভাবে চললেই খুশি তারা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) কান্দিরপাড় এলাকার সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার, ময়নামতি মার্কেট, প্ল্যানেট এসআর, সমতট মার্কেট, নিউমার্কেট, এসবি প্লাজা, শাসনগাছা এলাকার ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজায় গিয়ে দেখা গেছে, সব বয়সী মানুষের ভিড়। কেউ দোকানে ঢুকছেন কেউ কেনাকাটা শেষে বের হচ্ছেন। উৎসবের আমেজে সবার মুখে হাসি। এভাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে নগরীর শপিংমলগুলো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের তুলনায় সন্ধ্যা ও রাতে বেচাকেনা বেশি হয়। অনেক ব্যবসায়ী ঋণ করে পণ্য দোকানে এনেছেন। গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা। এজন্য দামাদামি না করেই নির্ধারিত মূল্যে ক্রেতার হাতে পণ্য তুলে দিতে চান ব্যবসায়ীরা।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ৩০ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে শপিংমলগুলোতে পোশাক ও জুতার দোকান রয়েছে ১০ হাজার। এই ১০ হাজার দোকানে রোজার শেষ ১০ দিনে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে। সে হিসাবে ১০ হাজার দোকানের ১০ দিনের বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০০ কোটি টাকা।
নিউমার্কেটের খোশবু ফ্যাশনের মালিক মালেক খসরু ঊষা বলেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আমরা দাম বেশি রাখি না। দিনে ৫০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। চাঁদরাত পর্যন্ত এভাবে চললে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, ‘আমাদের সব দোকানের বিক্রি সমান নয়। কিছু দোকানে বেশি বিক্রি কিছু দোকানে কম হয়। শপিংমলগুলোতে বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া বাইরে যে দোকান রয়েছে সেগুলোতেও ভালো বিক্রি হচ্ছে। শপিংমলগুলোর ১০ হাজার দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার করে বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছি। এই হিসাবে ১০ দিনে ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।’