কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলে ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ। গত কয়েকদিন ধরে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন স্থানে মৃত ও অর্ধমৃত জেলিফিশ দেখা যাচ্ছে। সমুদ্রের জোয়ারের সঙ্গে এগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে তীরে এসে বালুতে আটকে পড়ায় বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া জেলিফিশ আটকে জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে এবং মাছ শিকারে দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রলার মালিক ও জেলেরা।
সরেজমিন কুয়াকাটার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, দখিনা বাতাস এবং জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ। কুয়াকাটা লেম্পুচর, ঝাউবনসহ সৈকতের বিভিন্ন স্থানে সেগুলো আটকে আছে।
কুয়াকাটার জেলে মো. আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে গত দুই সপ্তাহ ধরে। মাছ ধরতে না পারায় হাজার হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
ট্রলারমালিক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘জেলিফিশ আটকে আমার আটটি জাল নষ্ট হয়ে গেছে। মাছ ধরতে না পারায় এবং জাল ছিঁড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার জেলে কয়েক কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন।’
এ ব্যাপারে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘সমুদ্রের গভীরে অক্সিজেন হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে অথবা সামুদ্রিক কচ্ছপের পরিমাণ কমে যাওয়ায় জেলিফিশ বেড়ে গেছে। জেলিফিশ ভেসে আসায় জেলেদের অর্থনৈতিক লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। তবে সামাজিক ইকোসিস্টেম রক্ষার জন্য সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে চরম মূল্য দিতে হবে দেশ ও জাতিকে।’