কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। জেলার ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২০২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৮৭ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২২ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩০ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জনে।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৩২ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৬২ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৪২ জন, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ২৯ জন, মিরপুর উপজেলায় ২৫ জন ও খোকসা উপজেলায় ১৫ জন।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৬ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার ৯০২ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২২১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন।