পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটারজুড়েই এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়া ইলিশ পার্ক, ইকো পার্ক, বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেটসহ সব পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে পর্যটকদের উপস্থিতি। ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) থেকে পর্যটকরা আসতে থাকেন কুয়াকাটায়। আগত পর্যটকরা সৈকতে ছবি তোলা, বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা ও নোনা জলে গা ভাসিয়ে উপভোগ করছেন। পর্যটকদের আগমনে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেল-মোটেলের ৯০ ভাগ কক্ষ। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঝিনাইদহ থেকে আসা পর্যটক রানা মিয়া বলেন, ‘পরিবারের লোকজন নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। এখানে অনেক লোক এসেছেন। দেখে ভালো লাগছে, বেশ আনন্দ করছি।’
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জামিল মাহমুদ বলেন, ‘বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। সবসময় ছুটি পাওয়া যায় না। এবার ঈদে লম্বা ছুটি পেয়েছি, তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা চলে এসেছি। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি, বেশ ভালো লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়াকাটার রাস্তায় খানাখন্দ, এতে পর্যটকদের চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলো আরও উন্নত করা দরকার।’
কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রাজু বলেন, ‘ঈদের দ্বিতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে বর্তমানে হাজার হাজার পর্যটক রয়েছেন। তাদের সেবায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাই ব্যস্ত রয়েছেন। আশা করছি, এই চাপে আমরা ভালো একটি মুনাফা অর্জন করতে পারবো।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটায় প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ধারণক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তার অধিক পর্যটক এখানে অবস্থান করছেন। তবে অনেক পর্যটক সূর্যাস্ত উপভোগ করে নিজ গন্তব্যে ছুটে যাবেন।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইন্সপেক্টর হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ মাঠে নৌ ও থানা পুলিশ রয়েছে।