ক্ষোভ ও হতাশায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ঢাকার আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ মুন্সী। এ সময় তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। শহিদুল্লাহ আট বছর যাবৎ ওই থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়া প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদুল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত আট বছর ধরে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে আমি কর্মীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমাকে চেয়ার দেওয়া হয় না, এমনকি নামটা পর্যন্ত ঘোষণা করে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগ করায় বরাবরই আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি কর্মীদের কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। তাই সব ব্যর্থতার দায় নিয়ে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বরাবর আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তবে আমি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাবো।’
এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহীদুল্লাহ মুন্সী। এ সময় উপস্থিত সবাই তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় তার সঙ্গে মঞ্চে ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন উপস্থিত থাকলেও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আর কোনও নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদত্যাগ করতে চাইলে সরাসরি পদত্যাগপত্র নিয়ে আসার কথা। সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করার কিছুই নেই। এটা পাগলামি। তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, কিংবা তাকে যদি কেউ হেয় করে থাকেন তাহলে লিখিতভাবে আমাকে জানাতে হবে। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন করার মানে দলকে খাটো করা।’ তার কাছে সাংগঠনিকভাবে কোনও পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।