খুলনার গিলেতলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাব চালু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ফরেনসিক ল্যাবরেটরির কার্যক্রম শুরু হয়। এখান থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পুলিশ কেস ও কোর্ট মামলার আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
মৃত মানুষ ও পশু-পাখির ভিসেরা, কবর থেকে উত্তোলিত মানুষের হাড়, চুল, মাটি ও সফট টিস্যু, বিষাক্ত বা চেতনা নাশক পদার্থের উপস্থিতি, এসিড মিশ্রিত আলামতে এসিডের উপস্থিতি, বিস্ফোরকদ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ক্যামিক্যালসহ বিভিন্ন ধরনের আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট এখন থেকে খুলনাতে পাওয়া যাবে। এর আগে এসব রিপোর্টের জন্য ঢাকা ও রাজশাহী ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হতো। ফলে দীর্ঘসূত্রিতার পাশাপাশি নানা প্রতিবন্ধকতাও দেখা দিতো।
বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাব খুলনার পুলিশ পরিদর্শক মোছা. মাহমুদা খাতুন বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডি বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে মামলার আলামতসমূহের বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের পুলিশ কেস ও কোর্ট মামলার আলামতসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদানের জন্য সিআইডি বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো নির্দেশনা দিয়ে এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয়, সিআইডি, ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিট ও কোর্টে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনায় এই ল্যাবের কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন জেলা থেকে আলামত পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টরা যোগাযোগ করছেন। তবে যাত্রার দুই দিনেও কোন আলামত জমা হয়নি।
বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাব খুলনার সূত্র জানায়, যাত্রা শুরু করা বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবে ১০টি ইউনিট রয়েছে। এখানে প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ১৯ জনের জনবল প্রদান করা হয়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনে এই কার্যক্রম চলবে। ইউনিটগুলো হলো—রাসায়নিক পরীক্ষাগার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট শাখা, হস্তলিপি শাখা, জাল নোট ও মেকিমুদ্রা শাখা, ব্যালিস্টিক শাখা, ফটোগ্রাফি শাখা, অণুবিশ্লেষণ শাখা, পদচিহ্ন শাখা ও ক্রাইমসিন ইউনিট এবং আইটি শাখা।