পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনায় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ দাবি করেছে সংঘর্ষে তাদের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনা কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আগেই খুলনায় পৌঁছান। বিকালে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের নেতকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন।
একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মিছিল বের করে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন তারা। পিকচার প্যালেস মোড়ে তাদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
পরে বিএনপির সমাবেশে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সমাবেশের চেয়ার ও প্যান্ডেল। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কিছু টিয়ারশেল ছোড়ে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামীল লীগ কার্যালয়ের দিকে চলে যান।
এরপর বিএনপির নেতকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে এখন পুলিশ অবস্থান করছে। থেমে থেমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, বিএনপির নির্ধারিত সমাবেশে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় পুলিশ ব্যাপক টিয়ারশেল ছোড়ে। একই সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়।
খুলনা সদর থানার এসআই টিপু সুলতান বলেন, সংঘর্ষে আমিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।