গোখাদ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ও আসন্ন বাজেটে খামারিদের ভর্তুকি দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে গরু নিয়ে রংপুরে নগরীতে বিক্ষোভ এবং জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও করেছেন খামারিরা। বুধবার (২৫ মে) দুপুরে কয়েকশ গরু খামারি এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
জানা গেছে, প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন তারা। এতে নগরীর প্রধান সড়কে যান চলাচল বিঘ্ন হয়। বাধে তীব্র যানজট। পরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের রংপুরের পরিচালক অলিয়ার রহমান আকন্দ খামারিদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিলে খামারিরা ফিরে যান।
এর আগে খামারিরা গরু নিয়ে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন খামারিরা। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- রংপুর জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
খামারিরা অভিযোগ করেছেন, হঠাৎ গত এক মাস ধরে গোখাদ্যের দাম দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৪ টাকার ভুষি ৫৬, ১৫ টাকার ভুট্টা ৩৬, ৩৪ টাকার ফিড ৫২, ৩৮ টাকার সয়াবিন ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তারপরও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। গোখাদ্যের অভাবে খামারে থাকা গরুকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া যাচ্ছে না।
তারা অভিযোগ করেন, গোখাদ্যের অভাবে রংপুরের আট হাজার খামারের মধ্যে পাঁচ হাজার খামারের গরু পানির দরে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। খাদ্যের দাম না কমলে রংপুরের বেশিরভাগ খামার বন্ধ হয়ে যাবে। খাবারের দাম বাড়লেও ব্র্যাক ও মিল্ক ভিটা আগের দামে দুধ কিনছে। অথচ দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি কেজি দুধ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৫২ টাকা অথচ দাম পাচ্ছেন ৪০ টাকা। খামারিরা গরুগুলোকে সন্তানের মতো লালনপালন করেন। রংপুরে প্রায় এক লাখেরও বেশি পরিবার খামারের ওপর নির্ভরশীল। খাবারের দাম না কমালে লাখও পরিবার বেকার হয়ে পড়বে।
তারা দাবি করেন, গোখাদ্যের দাম কমাতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ভারতের মতো আমাদের দেশেও আসন্ন বাজেটে খামারিদের ভর্তুকি দিয়ে নিম্নমানের দুধ আমদানি বন্ধ, সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের ঘাস চাষের জন্য জমি বরাদ্দসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।