ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে টঙ্গীর হা-মীম গ্রুপের কারখানায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
একইসঙ্গে ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাঁশখালীসহ সব শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঈদের আগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত টঙ্গীর হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় আজ পর্যন্ত দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গুলিবিদ্ধ শ্রমিকদের মধ্যে কাঞ্চন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সরকার তাকে মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকার সহায়তা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।
তারা আরও বলেন, পাওনা ছুটির দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গী মিল গেটে অবস্থিত হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট গার্মেন্ট লিমিটেড ও ক্রিয়েটিভ কালেকশনস লিমিটেড কারখানা দুটির শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গত ১০ মে পুলিশ গুলি চালায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কথায় কথায় শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর উপযুক্ত জবাব না দেয়ার ফলেই রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো একের পর এক ঘটনায় এমন ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা দাবি করেন, কারখানা মালিকের ছেলেসহ যাদের নির্দেশে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। গুলিবিদ্ধ সব শ্রমিকের সুচিকিৎসার ব্যয়ভার মালিক ও সরকারকে বহন করতে হবে। চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করা কাঞ্চন মিয়াসহ স্থায়ী অক্ষম হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী সারা জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম বাবুল, লুৎফর রহমান আকাশ প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কাঞ্চন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও ছেলে মুত্তাকিন।