ফরিদপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ফেরদৌস আলম, ওই শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন এবং ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এস এম মোশাররফ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট দুই কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ১০৬ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
তিনি আরও জানান, একই আইনে ৪৭১ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ অধ্যাদেশের ৫(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আদালতের ওই আদেশে আরও বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রদত্ত উপরোক্ত সব ধারার অপরাধের সাজা একসঙ্গে গণনা করা হবে। আসামিদের হাজতবাসের সময়কাল সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেন।