গোপালগঞ্জে দল বেধেঁ ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৫ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৫ বখাটেকে আসামী করে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মুকসুদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে ওই ছাত্রী গোপালগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ূন কবিরের আদালতে ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষক ৫ বখাটেকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই নব কুমার ঘোষ মামলার বরাত দিয়ে বলেন, ওই শিক্ষার্থী ১৫ মে শনিবার আত্বীয় স্বজনদের সাথে পার্শ্ববর্তী কদমবাড়ি গ্রামে পূজায় যায়। গভীর রাতে তারা পূজা থেকে ফিরে আসছিলো। এ সময় ওই ছাত্রী আত্বীয় স্বজনের পেছনে পড়ে যায়। এ সুযোগে মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর গ্রামের কৃষ্ণ কীর্ত্তনীয়ার ছেলে কল্লোল কীর্ত্তনীয়ার নেতৃত্বে ৫ বখাটে তাকে ফুসলিয়ে বানিয়ারচর কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুলের পাশের চরে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তারা তাকে দল বেধেঁ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে হয়ে সোমবার মুকসুদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ না করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, মঙ্গলবার ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ দিন বিকেলে সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দী প্রদান করেছে। সেখানে সে ৫ ধর্ষকের নাম বলেছে ও ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। মামলা দায়েরের পর ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি জানান, দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে ।