গোপালগঞ্জে সাইফুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে জেলা শহরের মোহাম্মদপাড়ার একটি ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে ওই ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, মালেকা একাডেমি স্কুলের পাশে শহিদুল ইসলামের বাড়ীর দ্বিতীয়তলা ভাড়া নেন খাদিজা বেগম নামের এক নারী। পরে ওই নারী সাইফুল ইসলামকে স্বামীর পরিচয়ে বাসায় ওঠেন। এরপর থেকে আর তাদেরকে দেখা যায়নি। সোমবার রাত ২টার দিকে ওই বাসা থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে বাথরুম থেকে সাইফুল ইসলামের জবাই করা গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
তিরি আরো বলেন, গত ৪/৫ দিন আগে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হতে পারে। তার শরীরের বিভন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুই ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন আবদুস সালাম (৫৫) ও মোতাহার দর্জি (৫০)।
রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর সীমান্তের হোসেনপুর গ্রামের চান্দেরবাজার ব্রিজের কাছে ও সোমবার সকালে রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের মজুমদারকান্দি গ্রামে এ দুই খুনের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর সীমান্তে উত্তর হোসেনপুর গ্রামের চান্দেরবাজার ব্রিজের কাছে ভ্যানচালক আবদুস সালামকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। আগের দুটি হত্যাকাণ্ডের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী।
অন্যদিকে ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি রোববার রাতে এশার নামাজ পড়তে কাছের মসজিদে যায়। এর পর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। সোমবার সকালে রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের মজুমদারকান্দি গ্রামে একটি পাটক্ষেতে মোতাহার দর্জির লাশ পাওয়া যায়। মোতাহারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রাজৈর ওসি শেখ সাদিক জানান, নিহতের মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে জোর প্রচেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চান্দেরবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র : দৈনিক গোপালগঞ্জ