কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি কয়েকদিন আগে হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের ফসলি জমে ডুবে গেছে। পানি কমার পর দেখা দিয়েছে ক্ষত। নষ্ট হয়েছে এক হাজার হেক্টর জমির ফসল। মাঠভর্তি ফসলের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় গোমতীর চর, বসতবাড়ি ও কৃষিজমি। এতে কুমিল্লা অংশের আদর্শ সদর, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলার চরগুলোতে চাষ করা সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গোমতীর চরগুলোর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির মুলা, ঝিঙে, ঢেঁড়স, বেগুন ও লাউসহ নানা রকম সবজি নষ্ট হয়।
কৃষকদের পাশাপাশি ক্ষতি সম্মুখিন হয়েছেন অনেক পাইকার ব্যবসায়ীও। অনেকে কৃষকদের কাছ থেকে ঢলের আগেই নগদ টাকায় জমির সবজি কিনে রেখে ছিলেন। তাদের একজন আলম মিয়া। তিনি জানান, কৃষককে অগ্রিম টাকা দিয়ে ৪০ শতাংশ জমির মুলা কিনেছিলেন। এখন জমি ডুবে গেছে। তার সবকিছুই শেষ।
আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকায় কৃষক মতিন মিয়া বলেন, ‘পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠেছে আমার জমির ঢেঁড়স ও মুলাগুলো। এগুলো গিয়ে হাতে ধরে দেখে এসেছি। খুব মায়া লাগছে। সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস হয় না আমার আর কিছু নাই। সামনে দেনা করা ছাড়া আর উপায় নেই।’
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার থেকে কৃষি প্রণোদনা পাবো। গোমতীর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা দেবো। তাদের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে।’