শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ফেরিতে করে বাড়ি যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ।
শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে ফেরিতে যানবাহন উঠার সুযোগই পাচ্ছে না। এতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় পুলিশ।
গেল সোমবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ যাত্রী নিহত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।
এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। ফেরিতে উঠে নদী পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির ডালা খোলার অপেক্ষায় লাইনে দাড়িয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
অন্যদিকে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সারি ঘাট থেকে ছাড়িয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ছোট গাড়িসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।