ভোগলিকভাবে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অবস্থান অনেক দূরে। তবে ফুটবল বিশ্বকাপ এলে দেশ দুটি নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ভক্তদের উন্মাদনা দেখা যায়। গোটা দেশ বিভক্ত হয়ে পড়ে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনায়। উড়তে দেখা যায় সুদূর লাতিন আমেরিকার দেশ দুটির পতাকাও। আগামী নভেম্বরই ফিফা বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উন্মাদনা। পছন্দের দলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন ভক্তরা।
তেমনই একজন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চরদাদনা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে শামীম হাসান। কলেজ পড়ুয়া শামীম আর্জেন্টিনা ও তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির ভক্ত। তাইতো নিজের ঘরকে আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে রঙ দিয়ে সাজিয়েছেন। ঘরে এঁকেছেন প্রিয় ফুটবলার মেসির ছবিও। এক পাশে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকাও। এমন কাণ্ডে বাড়িকে এখন সবাই আর্জেন্টিনা বাড়ি নামেই চেনেন।
শামীম হাসান পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি ইসলামপুর কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি দোকান পরিচালনা করেন। সেই দোকানের জমানো টাকা থেকেই তার টিনের বাড়িকে রাঙিয়েছেন পছন্দের ফুটবল দেশ ও তারকার ছবিতে।
তবে শুধু ঘর রঙ করে ক্ষান্ত হচ্ছেন না শামীম। এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
শামীম হাসান বলেন, ছোট থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে ভালোবাসি। বেশি ভালোবাসি আর্জেন্টিনা তারকা ফুটবলার মেসিকে। ভালোবাসা থেকেই নিজের ব্যবসা থেকে কিছু কিছু টাকা জমিয়ে একটি টিনের ঘর করে আর্জেন্টিনা পতাকার আদলে রঙ করেছি। টাকা থাকলে বিল্ডিং করতাম।
গাইবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, আমি জেনেছি, চর দাদনা পূর্ব পাড়া গ্রামে এমন একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেই পরিদর্শনের জন্য যাচ্ছি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ও বর্তমান জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের প্রশিক্ষক সুমন আলী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনেছি। সত্যি কথা বলতে এ দেশে যুবসমাজ ফুটবল মানেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকেই বোঝে। শামীমের সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা না হলেও ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসাকে আমি সাধুবাদ জানাই।